সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে হোটেলে উঠার আগেই লাশ হলেন এনবিআর অফিসের সহকারী কাস্টমস কমিশনারের নববিবাহিতা স্ত্রী। নিহত নববধূর নাম শাম্মী খানম তানিয়া (২০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং ঢাকাস্থ এনবিআর অফিসের সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবিরের স্ত্রী। এইচ এম আহসানুল কবিরের গ্রামের বাড়ি ঢাঙ্গাইলে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হিমছড়ি এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ সময় অটোরিকশারচালক ও নিহতের স্বামী আহত হয়েছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করেছে জনতা।
জানা গেছে, সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবির তার নববিবাহিতা স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে ইউএস বাংলার পৌনে ১২টার ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন।
তাদের রুম বুকিং ছিল প্যাচারদ্বীপ রেজুর খাল সংলগ্ন মারমেইড ইকো রিসোর্টে। বিমান থেকে নেমে নবদম্পতি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে মারমেইডে যাচ্ছিলেন। হিমছড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে পড়ে আহত হন তিনজন। এ সময় মারাত্মক আহত হন স্ত্রী তানিয়া।
স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী পেশাগত দায়িত্ব শেষে কক্সবাজার ফেরার সময় রাস্তার পাশে আহতদের পড়ে থাকতে দেখে তাদের বহনকারী গাড়িতে তুলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবির বলেন, নববধূকে নিয়ে কক্সবাজার সৈকত দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু আনন্দটা বিষাদে পরিণত হলো। একটি দুর্ঘটনা জীবন সাথীকে এভাবে কেড়ে নেবে ভাবতে পারিনি। ভাগ্য আমাদের কক্সবাজার বসে একটু স্থির হতে দিলো না। হোটেলে একসঙ্গে বসে গল্প করার পরিবর্তে তানিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে ও আমাকে বাইরে দাঁড়িয়ে রাখলো। এসব বলতে বলতে কাঁদছিলেন কমিশনার।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছে। তবে ঘাতক মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। শাম্মির লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।